পায়ের যত্নে কিছু দারুন সহজ টিপস্
গ্রীষ্মে পা বেশি ঘামার কারণে পায়ে ময়লা আটকে যায়, তাই এই মৌসুমে প্রযোজন পায়ের ত্বকে বাড়তি যত্ন। গরমে ধুলাবালি, রোদ ইত্যাদি কারণে পায়ের ত্বকের ক্ষতি হয়। গ্রীষ্মের অতিরিক্ত রোদ পায়ের ত্বকও পুড়িয়ে দেয়। তাই যতোটা সম্ভব পা ঢেকে রাখতে হবে। গরমকালে পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে হবে । জেনে নিন পায়ের যত্নে কিছু দারুন সহজ টিপস্ –
১) গ্রীষ্মে যতটা সম্ভব পা ঢাকা পোশাক পরতে হবে। তবে পায়ের পাতা রোদ থেকে বাঁচাতে অবশ্যই বেশি এসপিএফ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া চাইলে পাতলা মোজাও পরতে পারেন ।
২) গরমকালে বাইরে থেকে ঘরে ফিরে পা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অনেকেই মনে করেন গরমে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। এটি অত্যন্ত ভুল ধারণা। কারণ গরমেও ত্বক আর্দ্রতা হারায়। তাই গরমের দিনে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার বা ‘ফুটক্রিম’ ব্যবহার করতে হবে।
৩) এই সময়ে অবশ্যই পা ঢাকা জুতা পরতে হবে। এতে পায়ে রোদের তাপ সরাসরি পরবে না এবং পায়ের ত্বক পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ থাকবে।
৪) গরমের সময় পায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে । নিয়মিত পা পরিষ্কার করুন এবং নিয়ম করে পেডিকিওর করিয়ে নিন তাহলে পায়ের ত্বক পরিষ্কার থাকবে আর রোদেপোড়াভাব কমে যায়।
৫) রোদেপোড়া দাগ দূর করতে এই ঘরোয়া প্যাক গুলু তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন “চন্দন, মুলতানি মাটি, দুধ ও পাকাকলা চটকে মিশ্রণ তৈরি করে তা পায়ে লাগালে পায়ের ত্বক কোমল হবে এবং রোগেপোড়া দাগ কমবে। তাছাড়া নিয়মিত লেবুর রসে তুলা ভিজিয়ে পায়ে লাগাতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবুর রস ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। তাই রোগেপোড়া দাগ দূর করতে এটি খুবই কার্যকর উপায়।
৬) সপ্তাহে একদিন কুসুম গরম পানিতে ভিনিগার বা লেবুর রস ও শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে পায়ের মৃতকোষ উঠে আসবে এবং ত্বক নরম হবে। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর ‘পা ঘষুনি’ বা ‘ঝামা’ দিয়ে পা ঘষে নিতে হবে। এতে পায়ের ময়লা ও শুষ্ক চামড়া পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর পা পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে শুকনা করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। এতে পা পরিষ্কার হবে ও কোমল থাকবে।
৭) গরমে জুতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পা ঢাকা জুতা বেছে নেওয়া জরুরি। আর যদি খোলা স্যান্ডেল পরতেই হয় তবে অবশ্যই পায়ে বেশি পরিমাণে সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে। তবে জুতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই আরামের বিষয় মাথায় রাখতে হবে।